Home আওয়ামীলীগের দু:শাসন ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং: শেখ হাসিনার রাতের ভোট ও সাম্প্রতিক বিশ্বের ভোট সমাচার

ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং: শেখ হাসিনার রাতের ভোট ও সাম্প্রতিক বিশ্বের ভোট সমাচার

শেখ হাসিনার রাতের ভোট ও সাম্প্রতিক বিশ্বের ভোট সমাচার

301
2
শেখ হাসিনার রাতের ভোট ও সাম্প্রতিক বিশ্বের ভোট সমাচার
শেখ হাসিনার রাতের ভোট ও সাম্প্রতিক বিশ্বের ভোট সমাচার


আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বলেছেন, Democracy is by the people, for the people and of the people” অর্থাৎ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য এবং জনগণের নিয়ন্ত্রণই গণতন্ত্র। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর উল্টো টা দেখি, Democracy is by the Awamileague, for the Awamileague and of the Awamileague “অর্থাৎ আওয়ামীলীগের দ্বারা, আওয়ামীলীগের জন্য এবং আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণই গণতন্ত্র।যেখানে গণতন্ত্র নাই, সেখানে নৌরাজ্য, বিচারহীনতা,ষড়যন্ত্র স্থান নেয়।গণতন্ত্র এর মূল ভিটামিন হচ্ছে ভোট বা election ব্যবস্থা। বাংলাদেশে ভোট বা নির্বাচন ব্যবস্থা কে আওয়ামীলীগ সম্পূর্ণরূপে ধর্ষণ করেছে বা হত্যা করেছে।বাংলাদেশে ভোট বলতে কিছুই নাই। সারা বিশ্ব কে আই ওয়াশ করার জন্য আওয়ামীলীগ নির্বাচন নাটক করে।

গেল ২০২৩ সালের তুরেস্কর জাতীয় নির্বাচনেও ভোট গ্রহণ হয়েছে অত্যন্ত সুষ্ঠ ভাবে ও নিরপেক্ষ ভাবে।

সাম্প্রতিক ২০২৪ সালের ২মে ইউকে র মেয়র নির্বাচনে কোনো ভোট কারচুপি, ছাত্রলীগ ওরফে কুত্তা লীগ কর্তৃক বেলট বাস্ক ছিনতাই, কিংবা দিনের ভোট লাইলাতুল রজনীতে হয়নি, কিংবা কবর হতে উঠে এসে মৃত মানুষ ভোট দেওয়ার কোনো অভিযোগ আসেনি।

সাম্প্রতিক ভারতের এম এল এ বা পার্লামেন্ট নির্বাচনে ও ভোট প্রকৌশল বা ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বা ভোট চোরী, কারচুপির এর কোনো অভিযুগ শুনা যায় নি।
২০২৪ সালের ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) লাই চিং-তে জয়ী হন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে আসছে ডিপিপি। তাইওয়ানের জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং এর অভিযোগ আসেনি।

ফিনল্যান্ডে ২৮ জানুয়ারির পার্লামেন্ট নির্বাচনে মধ্য ডানপন্থী ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টি (এনসিপি) সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পায়। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় দেশটিতে জোট সরকার ক্ষমতায় বসে। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ভুটানে পার্লামেন্ট নির্বাচন, ১৪ জানুয়ারি কমরোসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ২৬ জানুয়ারি টুভ্যালুতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।এই সব নির্বাচনেও ভোট চোরির অভিযোগ হয়নি।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনের তথ্য, এক দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভোট দেওয়ার দিন ছিল গত ১৪ ফেব্রুয়ারি। এদিন ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। দেশটিতে নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ২০ কোটি ৫০ লাখ। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সমর্থিত প্রার্থী প্রাবোও সুবিয়ান্তো জয়ী হন।

ফেব্রুয়ারিতে আজারবাইজান, এল সালভাদর ও সেনেগালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, কম্বোডিয়ায় সিনেট নির্বাচন এবং বেলারুশে পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে।
পাকিস্তান, ইরান, পর্তুগালে ও জাতীয় নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু কোনো ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠে আসে নি।

এখন আসা যাক, আওয়ামীলীগ এর ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে আলোচনা করি,আমরা বাঙালী জাতি ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ এর রাতকে কালো রাত বলে থাকি। কারন এই রাতেই বাঙালী জাতির উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে ঘুমন্ত মানুষের উপরে হত্যাযজ্ঞ চালায়।তারপর দেশে শুরু হয় এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ যা দীর্ঘ নয় মাস স্থায়ী হয়।আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা পেলেও আসলেই কি আমরা স্বাধীন?

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ এর কালো রাত এর মতো আরেকটি কালো রাত হলো ২০১৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর। এই রাতে আওয়ামী লীগ সরকার তাদের পোষ্য গুন্ডাবাহিনী , ছাত্রলীগ ,পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বক্স ভরে রেখে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরন করে। তেমনিভাবে আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৪ সালে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার গঠন করে।
গোটা বিশ্ব এখন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে কোন নির্বাচন হয়নি, হয়েছে ভোট চুরি প্রহসনের নির্বাচন।ওই সব নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায় নি ভোট কেন্দ্রে। ভোট কেন্দ্রের অনেক জায়গায় ভোটার শুন্য। ভোট কাস্ট হয়েছে ১০%-১৪% শতকরা। জনগন ভোট বর্জন করেছে। এটা নির্বাচনের নামে জাতির সাথে সার্কাস অথবা তামাশা ছাড়া কিছু না।

দিনের ভোট রাতে হবে এই থিওরির আবিষ্কারক লেডি হিটলার, ভোট চোর শেখ হাসিনা।

এবার আসা যাক, ২০১৮ সালের নির্বাচনের নামে যে ভেল্কিবাজি বা প্রহসন দেখেছে এদেশের জনগন সে প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে মোট আসনসংখ্যার প্রায় ৯৬ শতাংশ আসন দখল করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে ২৫৫টি আসনে, এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। আর বিরোধীদের প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা মাত্র সাত! বিএনপি পাঁচটি এবং তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শরিক, শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রীসভার আইনমন্ত্রী ও বাংলাদেশের সংবিধানের রূপকার ডক্টর কামাল হোসেনের দল গণফোরাম পেয়েছে দু’টি আসন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, প্রায় শতাধিক কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা এমন অস্বাভাবিক ব্যবধানেই জয়ী হয়েছেন। মোট ভোটের ৯০ শতাংশের বেশি তাদের ঝুলিতে গিয়েছে। খুলনার একটি কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে, মোট ভোটারসংখ্যার চেয়ে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার বেশি ভোট পড়েছে!

২০১৯ সালের ১৫ই জানুয়ারী প্রথম আলোর এক রিপোর্টে বলা হয়, ট্রাস্পারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর এক গবেষণা অনুযায়ী ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে তাদের বাছাই করা পঞ্চাশটি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং ত্রুটিপূর্ণ বলে মন্তব্য করে। অথচ নির্বাচনের দিন সারাদেশে সকল ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী লীগ সরকার। অন্য সব প্রতিশ্রুতির মতো এটিও পালনে ব্যার্থ হয় নির্বাচন কমিশন।
২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নিজ দলীয় ডামি প্রতিধন্দী দিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি সাজানো নির্বাচন করেছে।ডামি প্রার্থীরা ও আওয়ামীলীগ এর দলীয় নেতা কর্মী।এ যেনো,এক পুতুল খেলা, যেখানে আওয়ামীলীগ নিজে খোলোয়ার আর নিজে রেফারি। আর আওয়ামীলীগ নিয়ন্ত্রিত জাতীয় নির্বাচন কমিশন আসলে একটা অপদার্থ, ইউজলেস, লজ্জাহীন একটি খেলার পুতুল।বিরুধী দল বি এন পি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট আওয়ামীলীগ কর্তৃক অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেছে। সারা দেশের ভোট কেন্দ্রে ছিলো ভোটার শুন্য।সাধারণ জনগণ ও এই নির্বাচন নামক ভোট চোরির নাটককে বর্জন করেছে সত্যস্ফূর্তভাবে । অনেক ভোট কেন্দ্রের বাহিরে ভোটার বিহীন কিছু কুত্তা বা কুকুর কে শুতে দেখা যায়।ভোট কাস্ট হয়েছে মাত্র ৯-১০%.। শতকরা ৯০% মানুষ, আওয়ামীলীগ এর এই সাজানো নির্বাচন কে বয়কট করেছে।এ এক আজব নির্বাচন নামক গণতন্ত্র হত্যার লীলা খেলা। আওয়ামীলীগ এবং তার দলীয় নির্বাচন কমিশন সারা দেশে অবাধ, সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সম্পর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিলো, ভোট চোরির দায় কে মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করা। কিন্তু আমরা কি দেখলাম,শেইমলেস নির্বাচন কমিশন ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেনি এবং পদত্যাগ করেনি।

বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে বিরোধী দলীয় কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ,অত্যাচার, সাধারণ মানুষকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে প্ররোচিত করা আর এসবই ছিল ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে। ছাত্রলীগ দিয়ে হামলা, পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা পালন এসবই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ একটি সাজানো নির্বাচন করে সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়।

একটি গনতান্ত্রিক দেশে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়া আপনার আমার সকলের গনতান্ত্রিক অধিকার, কিন্তু আপনি নির্বাচন এর দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আবিষ্কার করলেন আপনার ভোট অন্য কেউ আগেই দিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেখেছে কিভাবে মৃত মানুষও ভোট দেয়। আর এগুলোর পিছনে আওয়ামী লীগের দ্বারা মনোনীত নির্বাচন কমিশন কিভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজ দেশে গনতান্ত্রিক অধিকার নেই, সাধারণ জনগণের ভোটের অধিকার নেই। দেশে দুটি জিনিসই আমরা শুধু দেখি একটি হলো ভোট চুরি ও আরেকটি হলো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রী, সরকার প্রধানের ছেলের চরম দুর্নীতি। রিলেফের কম্বল চুরি দিয়ে শুরু করে ছাগল চুরি, ভোট চুরিথেকে রিজার্ভ চুরি কোন চুরিই বাদ দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ সরকার।
“গ্রামে একটা গল্প প্রচলিত আছে,বৃদ্ধ দাদা গেছেন ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে,সেখানে গিয়ে শুনেন দাদার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে অনেক আগে এমন কি দাদার প্রিয়তমা মৃত স্ত্রীও নাকি কবর হতে উঠে এসে ভোট দিয়ে চলে গেছেন, জানালেন পুলিং এজেন্ট।
দাদা অবাক নয়নে,কহিলেন বাছা,আমার ভোট আমি দিতে পারি নাই এতে কোনো দু:খ নাই কিন্তু আমার মৃত প্ৰিয়তমা স্ত্রী আমার সাথে দেখা না করে কবর হতে উঠে এসে ভোট দিয়ে চলে গেলো! এই দুঃখ আমি কারে কমু!”
এই হলো আওয়ামীলীগ পরিচালিত জাতীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন ব্যবস্থা।

বাকশাল কায়েম দিয়ে গনতন্ত্র হত্যা শুরু করেছিল | এখন গনতন্ত্র, ভোটাধিকার হরন করে দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়েছে এবং জনগনের জীবন জীবিকা বিপন্ন করে তুলেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার।

2 COMMENTS

  1. একমাত্র দেশ নেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ এর উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ জন্য জনগণ বার বার তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ, পদ্মা সেতু, রেল যুগাযুগ,লেখা পড়ার উন্নয়ন সহ সব ধরনের উন্নয়নের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বি এন পি জামায়াত জুট সরকার এর আমলে উন্নয়ন হলেও আওয়ামীলীগ এর মতো এতো উন্নয়ন হয়নি। তাই উল্টা পাল্টা অপপ্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে। জয় বাংলা, জয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ

  2. লায়লাতুল ভোট এর প্রবর্তক হচ্ছেন শেখ হাসিনা ওরফে লেডি মাফিয়া।শেখ হাসিনার অধিনে কোনো সুষ্ঠ নির্বাচন হতে পারে না। ভোটার বিহীন নির্বাচন কমিশন একটা হিজড়া মার্কা কমিশন। লেডি হিটলার শেখ হাসিনার হাত হতে দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা কে রক্ষা করার জন্য ত্রিব্র আন্দোলনের কোনো বিকল্প নাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here