Home ব্লগ আওয়ামী র‍্যাপিড একশন লীগঃ চৌকস সরকারী গুন্ডাবাহিনী

    আওয়ামী র‍্যাপিড একশন লীগঃ চৌকস সরকারী গুন্ডাবাহিনী

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা

    আওয়ামী র‍্যাপিড একশন লীগঃ চৌকস সরকারী গুন্ডাবাহিনী

    বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, যা বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড বা বিচারবিহীন মৃত্যুদণ্ড নামেও পরিচিত, হল আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা বা ব্যক্তিদের দ্বারা বেআইনি হত্যাকাণ্ড। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড একটি অন্যতম মানবাধিকার সমস্যা, যেখানে কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।রেব কর্তৃক বিরুধী দলীয় অনেক নেতা কর্মী গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন, টর্চার এর শিকার হয়েছে।

    বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ইস্যুটি 1971 সালে দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সময়কার। এই সময়কালে, পাকিস্তানি সামরিক জান্তা, স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায়, বিচারবহির্ভূত হত্যা সহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

    র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বাংলাদেশের একটি আধাসামরিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যা সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য গুরুতর অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে, র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তার সহ অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, র‌্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে এক হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

    বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা প্রায়ই রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং LGBTQ+ সম্প্রদায়ের সদস্য সহ প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সদস্য। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে প্রমাণ বা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই অপরাধের অভিযোগ এনে বিনা বিচারে পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হতে হয়। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের তাদের কর্মের জন্য খুব কমই জবাবদিহির সম্মুখীন করা হয়।

    বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে কুখ্যাত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি ২০১৩ সালে ঘটেছিল, যখন দেশের পোশাক শিল্পে উন্নত মজুরি এবং কাজের অবস্থার দাবিতে একদল বিক্ষোভকারীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছিল। রানা প্লাজা বিপর্যয় নামে পরিচিত এই ঘটনাটি ১১০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু ঘটায় এবং বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

    আন্তর্জাতিক চাপের জবাবে বাংলাদেশ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমস্যা মোকাবেলায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০১৮ সালে, সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যা সহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একটি মানবাধিকার কমিশন গঠন করে। কমিশনের অভিযোগ তদন্ত করার, গণশুনানি করার এবং সরকারের কাছে সুপারিশ করার ক্ষমতা রয়েছে।

    যাইহোক, কমিশনের স্বাধীনতার অভাব এবং তদন্তের সীমিত সুযোগের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলি দ্বারা সমালোচিত হয়েছে। অনেক কর্মী এবং মানবাধিকার রক্ষক বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে নারাজ।

    বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের দায়মুক্তির বৃহত্তর সমস্যা এবং জবাবদিহিতার অভাবের লক্ষণ। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমস্যা মোকাবেলার জন্য একটি ব্যাপক পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে যার মধ্যে আইনী ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি মানবাধিকার শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে।

    উপসংহারে বলা যায়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার সমস্যা যা কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা প্রায়ই প্রান্তিক সম্প্রদায়ের সদস্য এবং এই অপরাধের অপরাধীদের খুব কমই তাদের কর্মের জন্য দায়ী করা হয়। যদিও বাংলাদেশ সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমস্যা মোকাবেলায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার পান তা নিশ্চিত করতে আরও অনেক কিছু করা দরকার।

    5 COMMENTS

    1. রেব হচ্ছে আওয়ামীলীগের পা চাটা সেবা দাস।রেবের কারণে দেশের অনেক বিরুধী দলীয় নেতা, কর্মী এবং সাধারণ মানুষ নিখুঁজ বা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশে রেব কে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।

    2. শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে লেখা লেখি, মিটিং করে বি এন পী রাজাকারের বাচ্চারা
      বিদেশের মাটিতে বসে।
      সাহস থাকলে দেশে আয়।তোর খবর আছে। পুলিশ তোকে খুঁজতেছে।

    3. সাবধান। বি এন পির নেতা তুমি বেশি বাড়াবাড়ি কররায়। তুমি যতোই আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে অনলাইনে লেখালেখি ও মিটিং করো না কেনো। তোমার কিন্তু রক্ষা নাই আমাদের কাছ থেকে।তোমাকে খুন করা হবে।তোমার কল্লা কাঁটা হবে।

      জয় বাংলা, দেশমাতা শেখ হাসিনা জিন্দাবাদ, জয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।

    4. বি এন পির নেতা কেতা তোমার বেইল নাই। তোমাকে আমরা খাইলিমু। তুমি বিদেশে বসে বেশি উলু জুলু কররায়। তোমার রক্ষা নাই, আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগের হাত হতে। মুজিব সৌনিক এক হও, দেশ বিরুধী ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও।

    5. বাহিরে থেকে উল্টাপাল্টা না বলে দেশে আয়,তোর সাহস কত দেখি, এয়ারপোর্ট থেকে জবাই করা হবে।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here